পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে ভাসান্ন্যা আদাম ও বগাচর ইউনিয়নের বেশ কিছু বাসিন্দার কাছে সোনালী ব্যাংক থেকে নোটিশ আসা শুরু করে। এমন প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের কাছে নোটিশ এসেছে। তখন জালিয়াতি করে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন ভুক্তভোগীরা।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। পরে লংগদু থানার এসআই মো. জয়নালকে এ বিষয়ে তদন্তের ভার দেওয়া হয়। তদন্তে তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার সত্যতা পান।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এনআইডি ছাড়াও তাঁদের অন্য কাগজপত্র এবং সই জাল করা হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা তদন্ত না করে কীভাবে এত জনের নামে ঋণ দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
লংগদু থানার এসআই মো. জয়নাল বলেন, ‘তদন্তে আমি অসহায় ও নিরীহ ব্যক্তিদের নামে ঋণ নেওয়া বিষয়ে সত্যতা পেয়েছি। তবে কত টাকা তাঁদের নামে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা ব্যাংক জানায়নি। আমার কাছে ব্যাংক কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, লংগদুর ৫০৬ জনের নামে এমন ঋণ দেওয়া হয়েছে।’