‘গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কী করবাম? মাইনষে নানা কথা কইব। এইতা (এসব) তো আমার ছেড়ি (মেয়ে) সইতা পারতা না। মাইনষের মুখ তো আর বাইন্দা রাখতাম পারতাম না। সবডাই আমারার মতো গরিবের দুর্ভাগ্য।’। ভুলবশত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়ের দরিদ্র বাবার অভিব্যক্তি এটি।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহের কোন এক গ্রামে। মা–বাবার সঙ্গেই থাকে গাজীপুরে। গত মঙ্গলবার রাতে জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভুলবশত সে ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে উঠে পড়ে। ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী তার কাছে টিকিট না থাকায় তাকে নিরিবিলি স্থানে বসিয়ে রাখেন। পরে তাকে কেবিনে নিয়ে সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে লালমনিরহাটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার পর গ্রেফতার আক্কাস গাজীকে (৩২) কারাগারে পাঠানো হয়। বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা আক্কাসের বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মামলাও করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত বুধবার আক্কাস গাজীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মুঠোফোনে একটি সংবাদ মাধ্যমকে কিশোরীর বাবা জানান, তিনি মেয়েকে নিয়ে এখন আর গ্রামের বাড়িতে যাবেন না। শারীরিক ধকলের পর অবুঝ মেয়েটি কারও কটু কথা সহ্য করতে পারবে না। তার চেয়ে গাজীপুরে যেখানে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন, সেখানে চলে যাবেন। এখানে তাঁদের তেমন করে কেউ চেনে না। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে না।
ভুক্তভোগী কিশোরী বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এরপর তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়
Discover more from AnyNews24.Com
Subscribe to get the latest posts sent to your email.