পানির নিচে বুর্জ খলিফার চেয়েও তিনগুণ উঁচু পর্বত
পানির নিচে বুর্জ খলিফা।
বিস্ময়কর এক আকাশচুম্বী ভবন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের এ ভবনটি উচ্চতার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসাবে বিখ্যাত। তবে এবার এ উচ্চতাকে হারিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের নতুন এক আবিষ্কার।
সাম্প্রতিক এক আবিষ্কারের অংশ হিসাবে মধ্য আমেরিকার বিজ্ঞানীরা পানির নিচে অন্তত চারটি নতুন পর্বত খুঁজে পেয়েছেন। যেগুলো বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফার চেয়েও উঁচু। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বিজ্ঞানীরা যে পর্বতগুলো আবিষ্কার করেছেন সেগুলোর আকার প্রায় ১ হাজার ৫৯১ কিলোমিটার থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৮১ কিলোমিটার পর্যন্ত, যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার উচ্চতার তিনগুণ বেশি।
রোববার টাইমস নাওয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের (মার্কিন সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান) গবেষকরা গুয়াতেমালার উপকূলে সমুদ্রের বেড ম্যাপ করার সময় পর্বতগুলো আবিষ্কার করেন।
চারটি পর্বতের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বতটির উচ্চতা ২.৫ কিলোমিটারেরও বেশি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এটি প্রায় সাড়ে চারশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্র্যাভিটি অ্যানোমেলিস পদ্ধতি ব্যবহার করে সমুদ্রের তলদেশের মানচিত্র তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ সমুদ্রতলের আকৃতির পরিবর্তনগুলো সমুদ্রের উপরিভাগে সামান্য পরিবর্তন ঘটায়। পানির নিচে একটি গভীর এলাকা কিংবা একটি পর্বত পানির উপরিভাগে তারতম্যের সৃষ্টি করে। গবেষকদের একজন জন ফুলমার বলেছেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে স্যাটেলাইট অলটাইমেট্রি ডেটাতে এই মাধ্যাকর্ষণ অসঙ্গতিগুলো ব্যবহার করে একটি সুবিধাবাদী ম্যাপিং রুট পরিকল্পনা করতে সক্ষম হয়েছি।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে গুয়াতেমালা উপকূলে ১ হাজার ৬০০ মিটার উঁচু আরও একটি পর্বত খুঁজে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। শ্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত সমুদ্রতলের ১৫ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা জরিপ করেছেন। ওই অঞ্চলগুলোতে ২৯টি পাহাড়, পর্বত এবং গভীর খাদ শনাক্ত করেছেন। পানির নিচের এই জরিপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ পানির নিচের খাদগুলো প্রায় সময়ই গভীর সমুদ্রের প্রবাল প্রাচীর এবং জলজ বনের সৃষ্টি করে। এই অঞ্চলগুলো জলজ প্রাণীদের খাদ্যেরও নিরাপদ আশ্রয়ের স্থান।