
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আটদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ও তার পরিবার এমন অভিযোগ করেছেন।
রবিবার (২৫ আগস্ট) ভোরে শ্যামনগর সদরের গোপালপুর এলাকা থেকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুল বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। তবে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে সহযোগিতা করায় গোপালপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে ওই স্কুলছাত্রী ১৮ই আগস্ট সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়। সে শ্যামনগর উপজেলা কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শৈলখালি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। অপরদিকে, হাফিজুল ইসলাম গোপালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ সরদারের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর ভাষ্য, ফেসবুকে হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর বিভিন্ন সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় হাফিজুল। একপর্যায়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৮ই আগস্ট সন্ধ্যায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় হাফিজুল। এরপর শ্যামনগর সদরের গোপালপুর এলাকায় হাফিজুলের পরিচিত এক প্রবাসীর বাড়িতে মেয়েটিকে রাখে। সেখানে টানা আটদিন তাকে ধর্ষণ করে হাফিজুল। এই কাজে সহযোগিতা করেছে ওই প্রবাসীর স্ত্রী।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আনিসুর রহমান বলেন, ওই সু্কলছাত্রী ১৮ই আগস্ট নিখোঁজ হওয়ার পর তার দাদা থানায় জিডি করেন। এরপর ছাত্রীকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। রবিবার ভোরে গোপালপুর এলাকা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও এক গৃহবধূকে আটক করা হয়েছে। তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম পুলিশের অভিযান টের পেয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় হাফিজুল ইসলাম ও গৃহবধূর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।