
রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তানিয়া সুলতানা (২৮) নামে আরও এক নারী চিকিৎসক মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত তানিয়া সুলতানার স্বামী ব্যবসায়ী আমিনুল বাহার হিমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের স্বামী হিমন জানান, ডেঙ্গু জ্বরের কারণে তানিয়ার এভাবে মৃত্যু হবে বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। তানিয়ার মৃত্যুতে আমার সাড়ে তিন বছরের ছেলেটি মা মা হারা হয়ে গেল। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রায়।
এ নিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট তিনজন চিকিৎসকের মৃত্যু হলো। এর আগে রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিগার নাহিদ দিপু নামে একজন নারী চিকিৎসক ও পরবর্তীতে গত কয়েকদিন আগে হবিগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন শাহাদাত হোসেন হাজরা মারা যান।
তানিয়া সুলতানা গত ২২ জুলাই থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। ২৪ জুলাই তাকে রাজধানীর মগবাজারে কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল তাকে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার আব্দুল কাহার আকন্দের অধীনে ভর্তি করা হয়।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় তার মৃত্যু হয়। নিহত তানিয়া সুলতানা সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ৪৭ ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নারী চিকিৎসক তানিয়া সুলতানার মৃত্যুর পর জানতে চাইলে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডাক্তার আয়েশা আক্তার বলেন, তানিয়া সুলতানা ডেঙ্গু সাসপেক্ট রোগী হিসেবে ভর্তি ছিলেন। রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মৃত্যু রিভিউ কমিটির রিপোর্ট দেয়ার আগে তানিয়া সুলতানার মৃত্যু ডেঙ্গুতে হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে।