এমআরটি ও র্যাপিড পাসের কী পার্থক্য, খরচ কত?
বছরখানেক আগে মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। মেট্রোরেল আমাদের দেশের জনসংখ্যাকে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একটি নতুন যুগে আবদ্ধ করেছে। উন্নত দেশগুলোয় মেট্রোরেল এবং অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশন মাধ্যমগুলোকে একত্রিত করে একটি উন্নত রুট সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে যাতে মানুষ শুধু একটি পেমেন্ট কার্ডের মাধ্যমে তাদের গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারে। বাংলাদেশে এরই মধ্যে মেট্রোরেলে এ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।
এই আধুনিক গণপরিবহনটিতে যাতায়াতে সিঙ্গেল, এমআরটি ও র্যাপিড–এই তিন ধরনের পাস ব্যবহার করছেন নিয়মিত যাত্রীরা।
এমআরটি পাস
এমআরটি পাস হলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক সংযোগবিহীন স্মার্ট আইসি কার্ড। এর মাধ্যমে ঝামেলা ছাড়াই সহজে মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধ করা যায়। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এমআরটি পাস ব্যবহারকারীরা অদূরভবিষ্যতে বিভিন্ন পরিবহন ব্যবহারে এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
র্যাপিড পাস
দেশের গণপরিবহনের সমন্বিত ই-টিকিটিং ব্যবস্থা ও ভাড়া আদায়ে সর্বাধুনিক স্মার্ট কার্ড ‘র্যাপিড পাস’ সুবিধা চালু করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। দেশের বিভিন্ন গণপরিবহন যেমন: মেট্রোরেল, বাস র্যাপিড ট্রানজিট, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিসির নৌযান সার্ভিস, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বাস সার্ভিসে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরবচ্ছিন্নভাবে যাতায়াতে ঝামেলাহীন পেমেন্ট সুবিধা পেতেই র্যাপিড পাস সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
এমআরটি ও র্যাপিড পাসের পার্থক্য
এমআরটি বা র্যাপিড পাসে খুব একটা পার্থক্য নেই, প্রায় একই সুবিধা পাওয়া যাবে। একজন ব্যক্তি চাইলে একাধিক কার্ড ইস্যু করতে পারবেন। তবে একটি পরিচয়পত্রের বিপরীতে একটি কার্ড নেয়াই উত্তম।
যেভাবে করবেন এমআরটি পাস
ডিএমটিসিএল-এর ওয়েবসাইট বা মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করে মেট্রোরেলের টিকিট কাউন্টারে জমা দিলেই পাওয়া যাবে এমআরটি পাস কার্ড।
এমআরটি পাসের খরচ কত?
এমআরটি কার্ড নিতে হলে খরচ হবে ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা কার্ডের জামানত হিসেবে থাকবে, যা কার্ড জমা দিলেই ফেরত পাওয়া যাবে। বাকি ৩০০ টাকা ব্যালেন্স থাকবে যা দিয়ে ট্রেনে যাতায়াত করা যাবে।
এমআরটি টপআপ
যে কোনো স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে কার্ডে টাকা রিচার্জ করা যাবে। টিকিট বিক্রির মেশিনেই টপআপ অপশন রয়েছে। যেখান থেকে সহজেই টাকা দিয়ে রিচার্জ করে নেয়া যাবে।